এফবিসিসিআই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) দ্বিবার্ষিক (২০১৫-১৭) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
urgentPhoto
সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের সামনে জায়গা দখল নিয়ে বিভিন্ন প্যানেলের পরিচালক প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। প্রার্থীদের প্রচরণার কারণে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে ভোটাররা বাধাগ্রস্ত হন। ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীকালে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শান্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলে। ২৯টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়।
এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরিচালক প্রার্থীরা। প্যানেলগুলো হলো নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদের নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন পরিষদ; সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন, ড. কাজী ইরতেজা হাসান ও শাফকাত হায়দারের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ এবং এফবিসিসিআইর বর্তমান জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ।
উন্নয়ন পরিষদ প্যানেল থেকে ৩২ জন, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ থেকে ১৬ জন ও স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে ১৫ জন নির্বাচনে প্রার্থিতা করছেন।
চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে মোট দুই হাজার ১৯৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৭৮টি চেম্বার থেকে ৪৩০ জন এবং ৩৫৫টি অ্যাসোশিয়েশন থেকে এক হাজার ৭৬৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবার বোর্ডে ৫২ জন পরিচালক থাকবেন। এর মধ্যে অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৬ জন করে মোট ৩২ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ২০ জন পরিচালক মনোনীত হবেন।
সরাসরি ভোটের জন্য তিন প্যানেল থেকে ৬৪ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আজ পরিচালক নির্বাচনের পরে ২৫ মে সভাপতিসহ একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও একজন সহসভাপতি পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।