মূল্যস্ফীতি ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

চলতি বছরের (২০২৫ সাল) ফেব্রুয়ারি মাসে শহর ও গ্রামীণ পর্যায়ে খাদ্য খাতে খরচ কমার তথ্য দিয়েছে সরকার। আলোচিত সময়ে (ফেব্রুয়ারি) সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। যা গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। অবশ্য গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ তথ্য বলছে, সার্বিক মূল্যস্ফীতির গত চার মাস পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে একক ঘরে নেমে এসেছিল। গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে হয় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে। এর মানে গত বছরের (২০২৪ সাল) ফেব্রুয়ারিতে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা গত ফেব্রুয়ারিতে কিনতে হয় ১০৯ টাকা ৩২ পয়সায়।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার কারণ নিম্নমুখী খাদ্য মূল্যস্ফীতি। গত ফেব্রুয়ারিতে এসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে। যা জানুয়ারিতে ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। যা জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
খাদ্যের দাম কমার তথ্য মেলে শহরের খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতিতে। এতে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশে। যা জানুয়ারিতে ছিল ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমল ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট। অন্যদিক গ্রামের খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত ফেব্রুয়ারিতে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়ায়। যা জানুয়ারিতে ছিল ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। গ্রামের মধ্যে দশমিক ১২ শতাংশ পয়েন্ট খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যা জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শহরে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ২ শতাংশ পয়েন্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। বছরের প্রথম মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।