২৬ দিনে প্রবাসী আয় ২৭ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা

ঈদের পর এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) এসেছে ২২৭ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৫৯৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৫০ পয়সা হিসেবে)। এসময় প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পবিত্র রমজানে প্রবাসী আয়ের পালে লেগেছিল হাওয়া। সেই হাওয়ায় গত মার্চ মাসে দেশে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। কিন্তু এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিন প্রবাসী আয়ের গতি কমেছে। কারণ পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা ছুটি ছিল ৯ দিন। এর মধ্যে এপ্রিলের পাঁচদিনও ছিল। এই প্রথম পাঁচ দিনে প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়ে। কিন্তু পরের ২১ দিন প্রবাসী আয়ের গতি বেড়েছে বলে জানান ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে আট কোটি ৭৩ লাখ ৪৭ হাজার ডলার। আগের বছরের (২০২৪ সাল) এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ছয় কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছরের মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪৫ ডলার। মার্চের এই প্রবাসী আয় ছিল স্মরণকালের সেরা।
চলতি এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ৩৫ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার এসেছে। প্রবাসী আয় আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সোনালী ব্যাংকের। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৩২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এরপর অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ২৬ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে।