মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: গভর্নর

সরকারের চেষ্টা ও নীতির ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা অসম্ভব কিছু হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত ব্যাংকার এসএমই নারী উদ্যোক্তার সমাবেশ, পণ্য প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ। ৪ দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ১১ মে পর্যন্ত। এবার ৬৮ জন নারী উদ্যোক্তা মেলায় পণ্য নিয়ে এসেছেন। মেলায় শেষদিনে ছয়জন নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেওয়া হবে।
মূল্যস্ফীতি কমার প্রসঙ্গে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা যদি একদিকে টাকা ছাপাই আর অন্যদিকে বলি মূল্যস্ফীতি কমে না, তাহলে তো হবে না। আমাদের এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। সেই জায়গা থেকে আমরা কাজ করছি। মূল্যস্ফীতি কমতে একটু সময় লাগছে।
দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল জানিয়ে গভর্নর বলেন, এখন তা সাড়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি, সেটি এখন ৯ শতাংশের একটু বেশিতে রয়েছে। আমি আশাবাদী, এটা আস্তে আস্তে কমবে। আমরা যদি চেষ্টা করি, নীতির স্থিতিশীলতা থাকে, তাহলে ৪ থেকে ৫ শতাংশে মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনা অসম্ভব কিছু না এবং সেটিই হবে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান।
নারীদের সাংবিধানিক যে অধিকার রয়েছে, বাস্তবে তাঁরা সেই অধিকার পাচ্ছেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারীদের ঋণের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। নারীদের কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমাদের চেষ্টা করতে হবে।
এখন ব্যাংক খাতে মোট ঋণের মাত্র ৬ শতাংশ নারীরা পাচ্ছেন জানিয়ে গভর্নর বলেন, এটি মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। তাঁদের জন্য কীভাবে ঋণ বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের আর্থিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেব, তবে তা শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল বাড়িয়ে নয়। কারণ, সেখান থেকে দিলে নতুন টাকা তৈরি করতে হয়। নারীদের ঋণ দিতে হবে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে, তাঁদের অধিকার বিবেচনায় রেখেই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক খসরু পারভেজ, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা প্রমুখ।