জবিতে নেই উপ-উপাচার্য, আইনের সংশোধন চান শিক্ষকরা

প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পরও উপ-উপাচার্যশূন্য দেশের স্বনামধন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নেই উপ-উপাচার্য নিয়োগের বিধান। এই পদ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একাডেমিক, প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও চান আইন সংশোধন করে উপ-উপাচার্য যাতে নিয়োগ দেওয়া হয় ও জগন্নাথ থেকেই যেন দেওয়া হয়। তাহলে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, ‘অবশ্যই উপ-উপাচার্য নিয়োগ হওয়া দরকার। দুইজন দরকার। এটা একটা বড় বিশ্ববিদ্যালয়।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আগের শিক্ষক সমিতির কমিটি উপউপাচার্য নিয়ে কিছু কাজ করেছিল, আমরা সে কপি নিয়ে আবার কাজ শুরু করব। আমরাও চাই উপউপাচার্য নিয়োগ হোক। এ পদে যাতে কমপক্ষে দুইজন নিয়োগ হয়।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের (একাংশের) সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘অবশ্যই উপ-উপাচার্যের প্রয়োজন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের গতিশীলতার জন্য নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে এবং এ নিয়োগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই হোক। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দুইজন উপ-উপাচার্যের প্রয়োজন। আমাদের আইনও সংশোধন করা দরকার।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষকরা দাবি করবে, কারণ তাঁদের লোক দরকার। আইন সংরক্ষণের যে কমিটি তাঁরা তো এখনও সুপারিশও দেয় নাই, তাহলে আমি কী করব। আমার কাজ এটা ওপরে পাঠানো। অনেক সময় উপাচার্য কি চাইবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হোক? কিন্তু আমি চাই। নিয়োগ হলে আমার একটু কাজ কমে যায়।’
জানা যায়, ২০০৬ সালে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ২০১৩ সালে এ আইনের ১১ ধারা সংশোধন করে উপ-উপাচার্যের পদ সৃষ্টি করা হয় এবং গত ৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সিন্ডিকেট সদস্য ড. মোহম্মদ হুমায়ুন কবিরকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।