জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যখন কম ছিল, তখন সরকার ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে। এই মুনাফা দিয়ে সরকার চার মাস ভর্তুকি দিতে পারল না! আবার বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশীয় বাজারে দাম কমে না।’
সুজয় বিশ্বাস আরও বলেন, ‘এক বোতল পানির দাম ১৫ টাকা অথচ একটি মূলায় ৯০০ গ্রাম পানি থাকে, তার দাম আট টাকা কেজি। আমাদের কৃষক সমাজ এখনও অবহেলিত। তেলের দাম বাড়লে কৃষকের খরচও বেড়ে যায়। কিন্তু তাঁরা সেই কৃষিপণ্য সঠিক দামে বিক্রি করতে পারে না। অনতিবিলম্বে তেল, গ্যাস, বাস ভাড়া কমিয়ে সবকিছু সহনীয় মাত্রায় আনতে হবে।’
হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী জামান কবির বলেন, ‘সরকারকে জিম্মি করে পরিবহণ মাফিয়ারা ইচ্ছে মতো ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার নাকি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। সরকার বিদেশ থেকে তেল আমদানি রাতারাতি করে না। অন্তত ছয় মাসের তেল আমদানি করে রাখে। আমরা সরকারকে বলতে চাই, মানুষ খাওয়া কমাবে না, আপনারা খাওয়া কমান।’
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বরিশালে এলপিজি চালিত সিএনজিগুলো অনৈতিকভাবে রূপাতলি থেকে সদর পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা করে দিয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ডাল-ভাত খেয়ে জীবনযাপন করে। অতিরিক্ত ভাড়ার ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের হেঁটে আসতে হচ্ছে।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা সরকার ও মাসুদ রানা। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ।