শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮জন করোনা আক্রান্ত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সংগীত বিভাগের ১০ জন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৬ জন ও ফিন্যান্স বিভাগের ২ জন।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের এখন পর্যন্ত ১০ জন করোনা পজিটিভের খবর পাওয়া গেছে। এ কারণে বন্ধ রয়েছে বিভাগের সব ক্লাস। আক্রান্তদের মধ্যে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান, একজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাও রয়েছেন। এছাড়া অনেকে টেস্ট দিয়েছে এখনও রিপোর্ট পায়নি।
সংগীত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিভাগে কম বেশি সবারই অসুস্থতা। আর এ কারণে এখন ক্লাস বন্ধ। শিক্ষার্থীরা ভয়েও আসছে না।
এদিকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মোট ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিভাগ সূত্রে জানা যায়, একজন শিক্ষক, দুইজন কর্মচারী ও তিনজন শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ এসেছে।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিষয়টি গোপন করে রাখে। শুনেছি বিভাগের ছয়জন করোনায় আক্রান্ত।’
এছাড়া ফিন্যান্স বিভাগের ১২তম আবর্তনের দুইজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুর মুরশেদ ভুঁইয়া।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘ক্লাসগুলো অনলাইনে নাকি অফলাইনে নেওয়া হবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিন, চেয়ারম্যানরা বসে সিদ্ধান্ত নিবে।’
বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এক-দুইদিনের মধ্যে আমরা বসব ক্লাসের বিষয়ে। আমি অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পক্ষে। গত মিটিংয়ে আমি কাজের জন্য ছিলাম না। সবাই সেখানে মত দিয়েছে অফলাইনে ক্লাস নেওয়ার। তবে সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছিল আরও সাতদিন আগে, এর ভেতর করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমি মিটিংয়ে থাকলে বলতাম ছাত্রদের এভাবে ক্যাম্পাসে এনে আমরা বিপদে ফেলতে পারি না। ক্লাসতো অনলাইনেই নেওয়া যায়, কিছুটা কম হয়। তবে জীবনের চাইতে তো বড় কিছু নাই। তারপর করোনা কমলে আমরা সশরীরে ক্লাসে যাব, পরীক্ষায় যাব। কাল-পরশু আমরা বসব।’
এর আগে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সাতজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।