জবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক স্বাধীন আহম্মেদ বাদশা (সপ্তম ব্যাচ), নবীন (সপ্তম ব্যাচ), হাসান (১২তম ব্যাচ), জামাল (নবম ব্যাচ), মেহেদী (সপ্তম ব্যাচ), নাদিম (সপ্তম ব্যাচ), আশিক আবির (১১তম ব্যাচ) ও পাল কুমার হৃদয়। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র, সুমনা হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক (বহিষ্কৃত) আনিসুর রহমান শিশির ও সহসম্পাদক স্বাধীন আহম্মেদ বাদশার মধ্যে মারামারি হয়। এর জের ধরে আজ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে শিশির ও সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান আগুনের (সাময়িক বহিষ্কৃত) নেতৃত্বে অপর সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও শামীম রেজার কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়।
পরে কামরুল ও শামীমের নেতৃত্বে শিশির ও জহির পক্ষের কর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় তাঁরা নতুন ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁদের উদ্বার করে। পরে তাঁরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন ও বাইরে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দেখা যায়।
এদিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করে। সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে ছোটাছুটি করে। পরে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি ঢাকার বাইরে আছেন। এই সুযোগে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীরা পদপ্রত্যাশী নেতাদের ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে ক্যাম্পাসে ছাত্রনেতাদের মাঝে ঝামেলা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। এরপরও বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কোতোয়ালি থানার অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ্ বলেন, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনো ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।