কুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা, খালি নেই কোনো হোটেল-গেস্টহাউস

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা কাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুয়েটসহ নগরীর পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে এই পরীক্ষা হবে।
তিনটি অনুষদের ১৪টি বিভাগে মোট এক হাজার পাঁচটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৪৭৭ জন। আর বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর একই দিনে খুলনা শহরে অবস্থানের কারণে শহরের কোনো আবাসিক হোটেল বা গেস্টহাউসে আর জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খুলনায় আসা ও যাওয়ার ট্রেন বা বাসের টিকেটও হয়ে পড়েছে সোনার হরিণ।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা খুলনায় আসবেন। এ জন্য খুলনায় নিম্নমানের আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে তিনতারকা হোটেল বা গেস্টহাউসে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত কোনো আসন খালি নেই। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা ২০ থেকে ২৫ দিন আগেই এসব হোটেলে বুকিং দিয়ে রেখেছেন।
মহানগরীর কেন্দ্রস্থল জলিল টাওয়ারের জালিকো হোটেলের প্রধান নির্বাহী কামরুল ইসলাম জানান, এই তিনদিনের সিট আগেই বুকিং করায় তাঁরা আর নতুন অতিথি নিতে পারছেন না। তিনি জানান, কুয়েটে এবার সাড়ে ১০ হাজার পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজন করে অভিভাবক যুক্ত হলে অন্তত ২১ হাজার মানুষ খুলনায় আসবেন। কিন্তু খুলনা মহানগরীতে উচ্চ ও নিম্নমান মিলিয়ে আবাসিক হোটেলের ধারণক্ষমতা ছয় থেকে সাত হাজারের বেশি নয়। ফলে এই তিনদিনের জন্য খুলনায় আবাসনের ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
আবার এই সুযোগে অনেক আবাসিক হোটেল দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার জানান, যে পাঁচটি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা হবে সেগুলো হলো-কুয়েট ক্যাম্পাস, টিচার্স ট্রেনিং (টিটি) কলেজ, এইচএসটিটিআই, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার বয়েজ ও গার্লস।
কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, ভর্তি পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
এই শিক্ষাবর্ষে কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগে ১২০ জন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে ১২০ জন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগে ১২০ জন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ১২০ জন, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগে ৬০ জন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগে ৬০ জন, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং (এলই) বিভাগে ৬০ জন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) বিভাগে ৬০ জন, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং (ইউআরপি) বিভাগে ৬০ জন, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট (বিইসিএম) বিভাগে ৬০ জন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগে ৩০ জন, আর্কিটেকচার (আর্ক) বিভাগে ৪০ জন, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (এমএসই) বিভাগে ৬০ জন, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগে ৩০ জন এবং সংরক্ষিত পাঁচটি আসনসহ মোট এক হাজার পাঁচজন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।