জাবিতে ৩২৩ কোটি টাকার বাজেট পাস, অবহেলিত স্বাস্থ্যখাত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৩২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। এছাড়া গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে ৪২তম বার্ষিক অধিবেশনে এই বাজেট পাস হয়।
বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তায় মাত্র ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। এটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, গত অর্থবছরেও এ খাতে প্রায় একই পরিমাণ অর্থাৎ ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।
অন্যদিকে বেতন-ভাতা খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যেখানে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৮১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৫৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা খাতে ৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা (২৩ দশমিক ৩১ শতাংশ) এবং পেনশন ও অবসর সুবিধায় ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ) বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে ৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে, যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বাজেটে যানবাহন ক্রয় খাতের জন্য ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মাইক্রোবাস, একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি এসি কোস্টার এবং একটি বড় বাস ক্রয় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব তহবিলে বর্তমানে ৮০ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে এই ঘাটতি ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, জাবি স্কুল ও কলেজ, গবেষণা ভাতা, নৈশভাতা, স্বাস্থ্যবিমা, গার্ড বোনাসের মতো খাতে কোনো সরকারি বরাদ্দ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করতে হচ্ছে, যা এই ঘাটতি বাড়াচ্ছে।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, রোড ট্যাক্স এবং ভাড়া বাবদও প্রতি অর্থবছরে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে, যার বিপরীতে অভ্যন্তরীণ আয়ের কোনো উল্লেখযোগ্য উৎস নেই।