চেয়ারম্যান-মেয়র পদে থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না কেউ

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কেউ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো চেয়ারম্যান ও মেয়র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়র ও চেয়ারম্যানদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়রের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি অথবা স্বায়ত্বশাসিত অথবা আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস বা প্রতিষ্ঠানের বা করপোরেশন অথবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, কর্তৃপক্ষ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য পদ্ধতিগতভাবে পদত্যাগ করতে হবে।
নির্দেশনায় প্রার্থীদের ভোটার তালিকা সরবরাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে প্রণীত ছবিসহ ভোটার তালিকা ব্যবহার করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের কাজে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছবিসহ ভোটার তালিকা ব্যবহার করবেন। তবে, প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা পোলিং এজেন্ট ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি ক্রয় করতে পারবেন। এ জন্য জেলা বা উপজেলা পর্যায় থেকে অথবা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অফিস হতে মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় নির্বাচনি এলাকার আওতাধীন প্রতি ইউনিয়নের জন্য ৫০০ টাকা এবং সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অথবা পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০ টাকা হারে ট্রেজারি চালান অথবা পে-অর্ডার মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে।
সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।