কেনো প্রতিদিন সানস্ক্রিন লাগাবেন?

সূর্যের তাপ বেড়েই চলছে। বাইরে থেকে ফেরার পর আয়নায় নিজেকে আর চেনা যাচ্ছে না। ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। সূর্যের এই ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করতে চাইলে সানস্ক্রিনের বিকল্প নেই। সানস্ক্রিন শুধু যে গরমকালে লাগাবেন, তা নয়। এটি এমন একটি জিনিস যা সব আওহাওয়াতে ত্বকে প্রয়োগ করা উচিত। এমনকি দিনের বেলা ঘরে থাকলেও সানস্ক্রিন লাগিয়ে রাখুন।
বার্ধক্যের লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করে
সূর্যের আলো ত্বকের ইলাস্টিন, কোলাজেন এবং কোষগুলির ক্ষতি করে। এর ফলে ত্বক হয়ে ওঠে বিবর্ণ। ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। এর একমাত্র প্রতিকার সানস্ক্রিন। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে আপনি আপনার বয়সকে আটকে রাখতে পারবেন। ত্বকে তারুণ্য বজায় থাকবে।
ত্বকের প্রদাহ কমায়
ইউভি রশ্মির কারণে ত্বক ফুলে যায়। ত্বক একজিমা এবং রোসেসিয়াতে আক্রান্ত হতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহারে করলে ত্বকের প্রদাহ কমে যায়। সংবেদনশীল ত্বকে সূর্যের আলো বাজে ভাবে প্রভাব ফেলে। ত্বক লালচে হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে, জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড যুক্ত সানস্ক্রিন বেছে নিন।
ত্বকের ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায়
বাইরের আবহাওয়া রোদেলা বা মেঘলা যাই হোক না কেনো, সানস্ক্রিন অবশ্যই লাগান। একমাত্র এই উপাদানটির মাধ্যমেই ত্বকের ক্যানসার এড়ানো সম্ভব। কমপক্ষে ৩০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। এমনকি বেশি সুরক্ষার জন্য, আরও উচ্চতর এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বক ট্যান হওয়া থেকে রক্ষা পাবে
সূর্যের আলো আমাদের ত্বককে ট্যান করে তুলে। এ থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। বাইরে গেলে প্রতি দুই ঘন্টা পরপর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বক হলে এই প্রক্রিয়াটি আপনার জন্য জরুরি
ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
ত্বককে মসৃণ ও সুস্থ রাখার জন্য কোলাজেন, কেরাটিন এবং ইলাস্টিনের প্রয়োজন। সানস্ক্রিন এসব প্রয়োজনীয় প্রোটিনকে সুরক্ষিত রাখে। টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড যুক্ত সানস্ক্রিন বেছে নিন। এটি আপনার ত্বককে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া