ত্বকের জন্য ভালো কোন ফলের খোসা ব্যবহার করবেন?

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে বেশি করে মৌসুমি ফল ও ডিটক্স ওয়াটার খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু ফল খেয়ে কি খোসা ফেলে দিচ্ছেন? ফলের মতো তার খোসাও কিন্তু উপকারী এমনটাই বলছেন চর্ম বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে এমন কিছু ফল রয়েছে যাদের খোসা ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। তেমনই একটি ফল হলো তরমুজ। গরমে তরমুজ যেমন শরীর ঠান্ডা রাখে, তেমনই এর খোসা ত্বকে ব্যবহার করলে প্রদাহ কমবে। গরমে ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয়। এতে ত্বকে ব্রণ-ফুসকুড়ি, র্যাশ ও হিট র্যাশের ভোগান্তিও হয়। কারণ গরমে অতিবেগুনি রশ্মিতে ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় ব্রণ ও হিট র্যাশ হয়। এই সমস্যায় তরমুজের খোসা হতে পারে প্রাকৃতিক সমাধান।
তরমুজের খোসায় থাকে ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’ এবং লাইকোপিন নামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ত্বকের ক্ষত নিরাময় করতে পারে। ত্বকের কোষ সতেজ রাখতে এর জুরি মেলা ভার। তরমুজের রস প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। ত্বকের মৃতকোষ তুলে ফেলতে পারে, ফলে দাগছোপ বা ‘পিগমেন্টেশন’-এর সমস্যা হয় না। তরমুজের খোসায় থাকা ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপ মুছতেও উপকারী তরমুজ।
ত্বকে কীভাবে ব্যবহার করলে উপকার হবে?
তরমুজের খোসা
খোসা থেকে সাদা অংশটি তুলে নিতে হবে। সেটি মিক্সারে ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে মুখে মাখা যেতে পারে। এই প্যাক ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করবে, ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যাও দূর করবে।
তরমুজের রসের টোনার
তরমুজের খোসা থেকে সাদা অংশটি বের করে নিন। এবার ব্লেন্ড করে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে দিন। একটু পাতলা করে মিশিয়ে নিলে সেটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
তরমুজের ফেসপ্যাক
তরমুজের খোসার সাদা অংশের সঙ্গে দই ও পাকা কলা মিশিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণ মুখে মাখতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও মসৃণ হবে। দাগছোপও উঠে যাবে।