যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডব, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০
যুক্তরাষ্ট্রে রাতভর টর্নেডোর তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর। এ সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। টর্নেডোকে অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘বাজে ও বিধ্বংসী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার ভোররাতে কেনটাকি, আরকানস, টেনেসি, মিজৌরি ও ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে অন্তত ১৯টি টর্নেডো তাণ্ডব চালায়। টর্নেডোর আঘাতে অনেক বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা লণ্ডভণ্ড হয়েছে।
কেনটাকিতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতিও সেখানে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেখানে একটি মোমবাতির কারখানায় ১১০ জন আটকা পড়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে কেনটাকিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বহু এলাকা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণ মার্কিনীদের জন্য এ যেন দুঃস্বপ্নের এক রাত। কেনটাকিতে প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহতদের ভিড়। আরকানসাস ও ইলিনয় থেকেও মৃত্যুর খবর আসছে। ইলিনয়ে অ্যামাজনের একটি গুদামে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, অধিকাংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গ্রেভ কাউন্টি এলাকায়। সেখানকার মেফিল্ড শহরটি টর্নেডোর নজিরবিহীন তাণ্ডবের শিকার হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াতে পারে। এটি আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক টর্নেডো। অনুসন্ধান এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা জোরেশোরে চলমান রয়েছে।
আটকাপড়াদের উদ্ধারে এবং দুর্গতদের সাহায্যে অভিযান শুরু করেছে মার্কিন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অভিযান পরিচালনায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।