শিগগিরই ১২ লাখ টন গম রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে ভারত

গত মাসে হঠাৎ করে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। ফলে দেশটির বিভিন্ন বন্দরে গমের চালান আটকা পড়ে আছে। বন্দরে আটকা পড়া ওই সব কার্গো খালি করতে ভারত সরকার শিগগির ট্রেডারদের প্রায় ১২ লাখ টন গম সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
সরকারি ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। এসব গমের বেশিরভাগই আসবে বাংলাদেশে।
এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্সসহ আরও কয়েকটি দেশে গমের চালান যাবে বলে জানায় একটি গ্লোবাল ট্রেডিং ফার্মের দিল্লি ভিত্তিক ট্রেডার।
বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা ভারতীয় গমের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গমের উৎপাদন কম হওয়ায় অভ্যন্তরীন বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১৪ মে গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত।
তবে, তারা এও বলেছিল, বিদেশ থেকে যারা ভারতীয় গম আমদানির জন্য এরই মধ্যে এলসি খুলে ফেলেছে এবং সেসব দেশ ‘জরুরি খাদ্য চাহিদা মেটাতে’ গম সরবরাহ করতে অনুরোধ করবে তাদের গম দেওয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, গত ১৪ মের আগে যেসব এলসি খোলা হয়েছে সেই ভিত্তিতে গম রপ্তানির জন্য সরকার নিবন্ধন সনদ জারি করবে।
নিষেধাজ্ঞা জারির পর ভারত চার লাখ ৬৯ হাজার টনের বেশি গম রপ্তানি করতে দিয়েছে। কিন্তু এখনও বন্দরে অন্তত ১৭ লাখ টন গম পড়ে আছে।
সামনেই বৃষ্টির মৌসুম শুরু হচ্ছে। ওই সময়ে বন্দরে পড়ে থাকা গম নষ্ট হয়ে যেতে পারে উদ্বেগ থেকেই ওই গম ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।