যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী বরখাস্ত

যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মিনি-বাজেটের প্রতিক্রিয়ার পর কোয়ার্টেংকে চ্যান্সেলর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইউকে পিএম ট্রাস আজ মিনি-বাজেটের কিছু অংশে ইউ-টার্ন ঘোষণা করবেন এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে খবরটি আসল।
যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর পদে সবচেয়ে কম সময়ের রেকর্ডে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসলো কোয়ার্টেং এর নাম। ১৯৭০ সালে চাকরি নেওয়ার ৩০ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সবচেয়ে কম সময়ের চ্যান্সেলর বা অর্থমন্ত্রী ইয়ান ম্যাক্লিওড।
২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের চারজন চ্যান্সেলর হয়েছেন। যার মধ্যে নাদিম জাহাভি যিনি বরিস জনসনের অধীনে একটি স্বল্পস্থায়ী রদবদলের সময় ৬৩ দিনের জন্য তৃতীয় সংক্ষিপ্ততম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং সাজিদ জাভিদ যিনি ২০৪ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চতুর্থ সংক্ষিপ্ততম মেয়াদ ছিল।

কোয়াসি কোয়ার্টেং, যিনি যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর হিসাবে তার চাকরির বাইরে রয়েছেন– কেবলমাত্র তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তাকে বরখাস্ত করেছেন। তিনি খবরটি নিশ্চিত করে একটি চিঠি টুইট করেছেন, বলেছেন যে তাকে ‘একপাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে।’ অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের এ পরিকল্পনার জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে সহকর্মী এবং বন্ধু ছিলাম।’
কোয়ার্টেং নেপথ্যে থেকে ট্রাসের প্রতি তার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তার মিনি-বাজেটের পরে বাজারের অস্থিরতা স্বীকার করেছেন। তিনি লিখেছেন যে তার পরিকল্পনা প্রকাশের পর ‘অর্থনৈতিক পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে’, যার মধ্যে রয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ইউরো ট্যাক্স কর্তন করে সরকারি ঋণে অর্থায়ন করা।
কোয়ার্টেং বলেছেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি তা অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন জেনেই কাজটি নিয়েছিলাম।’
কোয়ার্টেং যে পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করেছিলেন সেগুলোর পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বিদ্যুতের দামের মতো সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য ‘স্থিতাবস্থা অনুসরণ’ করার আর কোনও ‘বিকল্প ছিল না’।