আইডিয়ালের ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/08/17/high-court_bss.jpg)
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ছাত্রীর বয়স ১৮ হয়েছে কি না, পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোশতাককে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, আইডিয়ালের ছাত্রীর বয়স নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তাই ভিকটিমের বয়স নির্ধারণ করা জরুরি। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ভিকটিম ছাত্রী নারী ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে (নিরাপদ হেফাজতে) থাকবে।
এ সময় বিচারক আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, আপনাকে কোন ধরনের ভয়ভীতি কেউ দেখিয়েছে কি না, কোন ভয় পেলে আমরা আপনাকে খাস কামরায় নিয়ে জিজ্ঞেস করি। এসময় আইডিয়ালের সেই ছাত্রী বলেন, ‘আমি স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় তাকে (খন্দকার মুশতাক আহমেদকে) বিয়ে করেছি। আমকে কেউ কোনো প্রকার ভয়ভীতি দেখায়নি।’
এদিকে, যখন জামিন শুনানি চলছিলো অপরাধবোধ থেকে বাবার চোখে রাখতে পারেনি মেয়ে। বাবা যতবার এজলাসের সামনে এসেছিল ততবারই মেয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করেছে দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ।’
কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১ আগস্ট মামলা হয়। ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও মামলায় আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা এ মামলা করেন।