বাবা টাকা ধার দেয়নি, তাই মেয়েকে হত্যা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/07/photo-1457372083.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নিখোঁজের দুদিন পর এক শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার একটি বাড়ি থেকে মিতু আক্তার নামের ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশুর চাচাসহ চার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিতু কসবা ইমামপাড়ার ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার গ্রামের বাড়ি কসবা থানার গোপীনাথপুর ইউপির বাড়াই গ্রামে। কসবা শীতলপাড়া ভাড়াবাড়িতে থাকে মিতুর পরিবার। তার বাবা আল-আমীন প্রবাসী।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মিতুর চাচা মাসুক মিয়া (১৮), কিবরিয়া (১৮), খায়রুল ইসলাম (১৮) ও তামিম মিয়া (১৮)।
পরিবারের বরাত দিয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন জানান, কসবা পৌর এলাকার শীতলপাড়া মাদ্রাসার সামনে থেকে গত শনিবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিখোঁজ হয় মিতু। এ ব্যাপারে তার মা রুনা বেগম বাদী হয়ে পরদিন কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ কসবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাসুকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
মাসুক মিয়াকে আটকের পর সোমবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লাশ কোথায় রেখেছে তা পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কসবার বাবলু মিয়ার পাঁচতলা বাড়ির ফলস ছাদ থেকে মিতুর লাশ উদ্ধার করে।
তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, এর আগে পুলিশের কাছে মিতুকে হত্যার কথা স্বীকার করে মাসুক জানায়, মিতুর বাবা প্রবাসী আল-আমীন তাঁর মামাতো ভাই। ব্যবসা করার জন্য আল-আমিনের কাছে তিনি দেড় লাখ টাকা চেয়েছিলেন। এই টাকা না পেয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আর এই কারণে প্রতিশোধ নিতে তিনি ভাতিজি মিতু আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।