পবায় দুই কিশোরকে নির্যাতন, আসামি তুহিনের জামিন নামঞ্জুর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/08/photo-1457438088.jpg)
রাজশাহীর পবায় দুই কিশোরকে নির্যাতনের মামলার আসামি তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২-এর (শিশু আদালত) বিচারক হায়দার আলী খন্দকার এ আদেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক জানান, আজ দুপুরে মামলার নির্ধারিত দিনে ৮ নম্বর আসামি ও চৌবাড়িয়া গ্রামের তুহিন (২৬) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক হায়দার আলী খন্দকার তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় পবায় নির্যাতনের শিকার দুই শিশু জাহিদ হাসান ও ইমন। রাজশাহীর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আবদুস সালাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের শিশু আদালতে হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হায়দার আলী সরকার। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে স্বজনদের জিম্মায় দেওয়া হয় জাহিদ ও ইমনকে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের রাকিবের বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ ও ইমনকে। ওই দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্যাতনের পর ছেড়ে দেওয়া হলে প্রথমে তাদের পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি জাহিদের বাবা ইমরান আলী বাদী হয়ে এক সেনা ও এক র্যাব সদস্যসহ ১৩ জনকে আসামি করে পবা থানায় মামলা করেন। এর মধ্য আটজন আসামি জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার আরেক আসামি নাসিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। এখন পর্যন্ত মামলায় র্যাব ও সেনাসদস্যসহ তিন আসামি পলাতক।