কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা নিহত
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/01/kumillaa.jpg)
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হাজী সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৫০) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের দায়েমছাতী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া সমর্থিত উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সম্মেলন শনিবার বিকেল ৩টায় বাঙ্গড্ডা বাদশা মিয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া।
অপরদিকে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে পূর্ব নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলার উদ্দেশে রওনা করেন। আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার গাড়ি বহর বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজার পার হওয়ার সময় মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া সমর্থিত নেতাকর্মীরা পেছন থেকে হামলা চালায় বলে দাবি করেন আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার নেতাকর্মীরা। হামলায় ৫ জন আহত হয়। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামে সামাজিক একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করি। দাওয়াত শেষে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলায় পূর্ব নির্ধারিত মতবিনিময় সভায় আসার পথে বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার নেতাকর্মীরা আমার গাড়ি বহরের পিছনে হামলা চালায়। হামলায় ৫ জন আহত হয় এবং হামলায় হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া নিহত হয়েছে। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়ার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমি জানি না। আমার একটি অনুষ্ঠান ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে আমি সে অনুষ্ঠান শেষ করে এসেছি। আমার প্রোগ্রামে কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া নামে একজন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।