এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করবে সিসিসি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/07/30/photo-1469898101.jpg)
এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। আগামী ১ আগস্ট থেকে নগরীর সাতটি ওয়ার্ডে এ অভিযান কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আজ শনিবার করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে সাতটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বর্জ্য সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে মেয়র এ তথ্য জানান।
ওয়ার্ডগুলো হলো ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নম্বর শুলকবহর, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ২৩ নম্বর পাঠানটুলি, ৩১ নম্বর আলকরণ ও ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সলিমউল্লাহ বাচ্চু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাবেদ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হাবিবুল হক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, নিলু নাগ, মনোয়ারা বেগম মনি, আবিদা আজাদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মন্নান সিদ্দিকী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলমসহ অন্যরা।
বৈঠকে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সিটি করপোরেশনের প্রধান কাজ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সড়ক বাতি আলোকায়ন, নালা-নর্দমা সংস্কার, খাল খনন, জলাবদ্ধতা নিরসন, রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ নগরবাসীর সেবা চলমান রয়েছে। সিটি করপোরেশনের মৌলিক সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সেবার মান ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে।
মেয়র জানান, আগামী ১ আগস্টের আগেই এই সাতটি ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘর, বাড়ি, দোকান, মার্কেটে ডাস্টবিন সরবরাহ করা হবে এবং নির্ধারিত সময়ে ডাস্টবিনগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় ডাম্পিং করা হবে। যেখানে ডাস্টবিন নেই সেখানে অন্য জায়গা থেকে ডাস্টবিন সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, নগরীতে বসবাসরত জনগণকে বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও কিছু সংখ্যক নাগরিক নির্দিষ্ট জায়গায় আবর্জনা না ফেলে যত্রতত্র, যখন-তখন আবর্জনা ফেলছে যা দুঃখজনক ও কাম্য নয়। তিনি নগরবাসীকে নির্দিষ্ট সময়ে ডাস্টবিন ও নির্ধারিত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আহ্বান জানান। বর্জ্য অপসারণে শতভাগ সফলতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ অপসারণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
নাছির উদ্দিন আরো বলেন, নগর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, পরিবেশসম্মত ল্যান্ডফিল তৈরি, নগরীর সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।