বন্যার্তদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা দেওয়া হবে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বন্যাকবলিত লোকজন ঘরে ফিরে গেলে খাদ্য সহযোগিতাসহ যার যা প্রয়োজন সে হিসেবে পুনর্বাসন করা হবে। আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব নেই।’
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আজ বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী ।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণসহ সব ধরনের সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ধারণ করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুনর্বাসন ও সংস্কারের কাজ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যার্তদের জন্য কাজ করা হচ্ছে।’
এ সময় মধ্য আগস্টে আরো একটি বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
পরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন মন্ত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক পরিবার ১০-১২ দিন ধরে বাঁধ ও পাকা সড়কে গবাদি পশু নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ গো-খাদ্যের সংকট চরম আকার ধারণ করছে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি কমতে থাকায় জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে কিছুটা উঁচু স্থানের লোকজন বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু পানি না নেমে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ ঘরে ফিরতে পারছে না।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) খান মো. নুরুল আমিন জানান, এ পর্যন্ত জেলায় বন্যার্তদের জন্য এক হাজার ২৭৫ টন চাল ও ৩৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।