ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিটনেসবিহীন টেম্পোর কাছে জিম্মি সাধারণ জনগণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় প্রায় অর্ধশত পরিত্যক্ত ফিটনেসবিহীন টেম্পো গত ১০ বছর ধরে অবাধে চলাচল করছে। আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর ওপর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ওপর দিয়ে আশুগঞ্জ থেকে ভৈরব দুর্জয় মোড় পর্যন্ত এসব টেম্পো চলাচল করে। যাত্রীদের এসব টেম্পোতে উঠতে বাধ্য করছেন চালকরা। একই সঙ্গে ফিটনেস থাকা সিনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলে তাঁরা বাধা প্রদান করছেন। অনেক যাত্রী ফিটনেসবিহীন টেম্পোচালকদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। ফিটনেসবিহীন টেম্পো চলাচল ও যাত্রী নির্যাতনের ঘটনা অবহিত করা হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।
উপজেলার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান খান দাবি করেন, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। অভিযোগে তিনি বলেন, ৭ মে রাত ১০টায় ব্যবসায়িক কাজে চট্টগ্রামগামী ট্রেনের জন্য তিনি আশুগঞ্জ রেলগেট এলাকা থেকে একটি সিএনজিতে করে ভৈরব রেলস্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন। সিএনজিটি আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছামাত্র ফিটনেসবিহীন টেম্পোচালকরা তাঁর সিএনজি আটকে দেন। এ কারণে তিনি ট্রেন ধরতে পারেননি।
প্রতিদিনই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রশাসনের নির্বিকার হওয়ায় আশুগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক সাধারণ জনগণ কিছু ফিটনেসবিহীন টেম্পোর কাছে জিম্মি হয়ে আছে। এ ছাড়া আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যত্রতত্র শতাধিক ফিটনেসবিহীন টেম্পো রাখায় যেকোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে।
ফিটনেসবিহীন টেম্পোর মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জের ইউএনও সন্দীপ কুমার সিংহ বলেন, এলাকায় অনেক ফিটনেসবিহীন টেম্পো চলাচল করছে। যাত্রীরা এসব টেম্পোচালকের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুত এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।