হরতালের কারণে পাসের হার ও জিপিএ ৫ কম : শিক্ষামন্ত্রী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/30/photo-1432980080.jpg)
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতাল-অবরোধের কারণে এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পাসের হার ও জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
urgentPhoto
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ ছিল ২০-দলীয় জোটের নজিরবিহীন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাস। ফলে এসএসসি পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতি দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। পরীক্ষার সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার বিষয়টি ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ২০১৫ সালের এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফল আজ প্রকাশ করা হচ্ছে। এবারের পরীক্ষা ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৩ এপ্রিল শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের বাধ্যবাধ্যকতা থাকলেও ৫৭ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশিত হচ্ছে।’
দেশের সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাসের হার কমলেও মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার বেড়েছে। এর কোনো কারণ আছে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণ করেছি। বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভয়ে ও আতঙ্কে ছিল। ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় তারা পরীক্ষা দিয়েছে। ফলে এর বিরূপ প্রভাব শুধু পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নয়, গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ওপর পড়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দেশের সব বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার, জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাসহ বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
এ বছর দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট ১১ লাখ আট হাজার ৬৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে নয় লাখ ৬১ হাজার ৪০৫ জন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মোট উত্তীর্ণ হয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ৬৬৬ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এক লাখ ১০ হাজার ২৮৯ জন। মোট পাস করেছে ৯১ হাজার ৪৫৭ জন।
এ ছাড়া দেশের বাইরের আটটি কেন্দ্র থেকে এবার মোট ২৯৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৯২ জন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং পরীক্ষার্থীদের অদম্য ইচ্ছা ও প্রাণশক্তির কারণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ বছর পরীক্ষা পরিচালনা করা গেছে। এ জন্য পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।