মেঘনায় বিলীন গ্রাম, আকাশের নিচে মানুষ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/29/photo-1443535414.jpg)
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় একটি গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি মেঘনার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অসহায় মানুষ খোলা আকাশের নিচে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। কোনো সাহায্যও তারা পাচ্ছে না।
ঈদুল আজহার দিন থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে থেমে থেমে চলছে এ ভাঙন। নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে গৃহপালিত পশুপাখি, গাছপালা ও ফসলি জমি।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, জেলা প্রশাসন থেকে লিজ নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল ড্রেজারের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। ফলে নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে গ্রামটি ভাঙনের মুখে পড়েছে।
প্রশাসনের কাছে একাধিকবার প্রতিকার চেয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী। প্রতিবাদ করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ দস্যুদের হামলায় আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন সংবাদকর্মী।
কালিকাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওমর ফারুক জানান, ঈদের দিন ভোর থেকে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। গ্রামটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ দেবে গেছে। এতে প্রায় ৫০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু কমবেশি আহত হয়। গ্রামবাসী জীবন বাঁচাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কাইয়ুমসহ নেতারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আলী আজগর বলেন, কয়েক মাস আগের নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বেশ কিছু পরিবার। ওই ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হলেও সাহায্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ কামাল জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।