এবার বিদায় বললেন জনসন
একের পর এক অবসর গ্রহণের মিছিলে এবার শামিল হলেন মিচেল জনসন। মাইকেল ক্লার্ক, ব্রাড হাডিন, ক্রিস রজার্স, শেন ওয়াটসনদের পর এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পার্থে চলমান দ্বিতীয় টেস্টই হবে জনসনের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
২০০৭ সালে অভিষেকের পর ৭৩টি টেস্ট খেলে জনসন নিয়েছেন ৩১১টি উইকেট। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তাঁর নাম আছে চতুর্থ স্থানে। জনসনের আগে আছেন শুধু ডেনিস লিলি (৩৫৫), গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩) ও শেন ওয়ার্ন (৭০৮)। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আইসিসির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে জনসন বলেছেন, ‘আমার মনে হয়েছে, এখনই বিদায় বলার সেরা সময়। দারুণ একটা ক্যারিয়ারের জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। দেশের হয়ে খেলার সময় প্রতিটি মুহূর্তই আমি উপভোগ করেছি। অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন ছিল; কিন্তু আমি সব সময়ই আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যা কিছু অর্জন করেছি, সে জন্য আমি গর্বিত। অ্যাশেজ সিরিজ ও বিশ্বকাপ জয় সব সময়ই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
২০০৭ সালে অভিষেকের পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত দাপুটে নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন জনসন। তার পর যেন ছন্দ হারিয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য। নিয়মিত সুযোগও পাননি অস্ট্রেলিয়া দলে। ২০১৩ সালের শেষে আবার ফর্মে ফেরার পর অবশ্য দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন জনসন। ২০১৩-১৪ মৌসুমে তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের পেছনে ভালো অবদান রেখেছিলেন জনসন।
টেস্টে বল হাতে ৩১১টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ২০৩৪ রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। খেলেছেন একটি শতক ও ১১টি অর্ধশতকের ইনিংস।