৪৯ মামলার আসামির রিট হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/31/high_court_0.jpg)
নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, মানবপাচারসহ ৪৯ মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের রিট মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আপিল বিভাগে তাঁর পাঁচটি মামলা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম কে রহমান ও অ্যাডভোকেট শেখ ওমর শরীফ।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, একরামুল আহসান কাঞ্চন মোট ২০টি মামলার বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রিট করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে সিআইডি তদন্তও করে। তদন্ত রিপোর্টে আসে সব মামলা ছিল ভুয়া মামলা। কিন্তু গত ৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ পাঁচটি মামলার তদন্ত স্থগিত করে আদেশ দেয়। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে রিভিউ দায়ের করব। রিভিউতে আমরা সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন করব এবং পরে হাইকোর্টে শুনানি করব।
অপরদিকে অ্যাডভোকেট শেখ ওমর শরীফ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ৪৯ মামলার আসামি একরামুল হক কাঞ্চনের দায়ের করা রিট মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মামলাটি আজ (মঙ্গলবার) আদেশের জন্য উক্ত বেঞ্চের কার্যতালিকার দুই নম্বরে ছিল। আপিল বিভাগে পাঁচটি মামলার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় হাইকোর্ট মামলাটিতে আর কোনো আদেশ না দিয়ে কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেন তিনি। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন কাঞ্চন। তার দাবি, দায়ের করা সব মামলাই ভুয়া। রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলার বাদীদের খুঁজে বের করতে গত ১৪ জুন সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সিআইডিকে তদন্ত করতে দেওয়ার আদেশসহ হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ এবং সব মামলার বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেন। আজ হাইকোর্টে আপিল বিভাগের আদেশের সার্টিফায়েড কপি দাখিল করা হয়।
আপিল বিভাগের আদেশ দেখে হাইকোর্ট মন্তব্য করেন, যেহেতু আবেদনকারীর বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাই এ মুহূর্তে রিট মামলায় অন্য কোনো আদেশ প্রদান করা সম্ভব নয়। এই বলে হাইকোর্ট মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।