রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রবাসীদের প্রণোদনা দেওয়ার পরামর্শ হাইকমিশনারের

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বৈধপথে পাঠাতে প্রণোদনা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম। পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গাইডলাইনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার এ কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশের তিন রেমিট্যান্স হাউস অগ্রণী, ন্যাশনাল ও সিটি ব্যাংক।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীরা অনেক কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করেন। তাই তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর নগদ প্রণোদনা দেওয়া উচিত। ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। এতে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হবেন।
ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের তিন রেমিট্যান্স হাউস অগ্রণী, ন্যাশনাল ও সিটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেন হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের তিন রেমিট্যান্স হাউসের কর্মকর্তারা জানান, দেশের বাইরে বিকাশের কোনো এজেন্ট নেই। একটি ব্যানারে লেখা আছে, ‘এখানে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়।’ এসব কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে। হুন্ডি ও অপব্যবহার রোধে মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে দ্রুত একটি কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তাঁরা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ডিফেন্স উইং হুমায়ন আহমেদ, শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম, মিনিস্টার (রাজনৈতিক) রইছ হাসান সারোয়ার, কমার্শিয়াল উইংয়ের ধনঞ্জয় কুমার দাস, সেন্ট্রাল ব্যাংক অব মালয়েশিয়ার (ব্যাংক নেগারা) ব্যবস্থাপক ওথমান জুপরি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক (গবেষণা বিভাগ) মাহফুজা আক্তার, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ শফিউল আলম, মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব মানি সার্ভিস বিজনেসের প্রেসিডেন্ট রামসাসি কে ভিরান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শালিনী পাবিত্রাণ, মালয়েশিয়ার অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউসের মহাব্যবস্থাপক মো. ওয়ালিউল্লাহ, ন্যাশনাল মানি ট্রান্সফারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদ ও সিবিএল মানি ট্রান্সফারের প্রধান নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান ফারাজি।