মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে শোক দিবস পালিত

পতাকা উত্তোলন, দোয়া, আলোচনা সভা ও কাঙালিভোজের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। পতাকা উত্তোলন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম।
পরে হাইকমিশনারের সভাপতিত্বে ও লেবার কাউন্সিলর সাইদুল ইসলাম মুকুলের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শন করা হয় বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ডেপুটি হাইকমিশনার ফয়সাল আহমেদ, লেবার কাউন্সিলর সাইদুল ইসলাম মুকুল, প্রথম সচিব (শ্রম) শাহীদা সুলতানা ও প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) মশিউর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিপথগামী সেনারা ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গিয়েছিল, সেদিনও বঙ্গবন্ধু এতটুকু বিচলিত ছিলেন না। তিনি সাহসী দীপ্তকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কী চাও তোমরা এখানে?’ কাপুরুষের মতো নিরস্ত্র মুজিবকে সেদিন গুলি করে হত্যা করেছিল ঘাতকরা। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় সূচিত হয়।
শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির নেতা ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জামিল হোসেন নাসির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক ওহিদুর রহমান ওহিদ, শাহীন সরদার, মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না, যুবলীগের আহ্বায়ক তাজকির আহমেদ, শ্রমিক লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জালাল উদ্দিন সেলিম ও ছাত্রলীগ নেতা রাসেল শিকদার।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম সচিব রাইস হাসান সারোয়ার, প্রথম সচিব (শ্রম) মশাররাত জেবিন, এস কে শাহীন, দ্বিতীয় সচিব তাহমিনা বেগম। এ ছাড়া মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন শফিকুল ইসলাম। মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ আয়োজিত কাঙালিভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।