প্রবাস থেকে
তিনটি অনুকাব্য

ছদ্মবেশী
রাত নেমে এলে, জানালার কোনায়
বসে থাকে এক অচেনা জোনাকি
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে গেলেই
দিচ্ছে ফাঁকি
অসীম শূন্যতায় বসে গেছে হাটবাজার
কে আমি? আমি কার?
চারদিকে তীব্র হাহাকার...
দুঃস্বপ্ন
মেঝের উপর অগোছালো বিছানায়
এলোমেলো চাদরজুড়ে, জেগে আছে
গতকাল রাতের স্মৃতি।
জ্যোৎস্নার আলো নিয়ে তোমার বক্ষে
লিখেছি রবীন্দ্রগীতি।
তীব্র উষ্ণতায়, ঘামের বৃষ্টিতে ভিজেছে
তোমার মায়াবী শরীর।
ভ্রূণ আর শুক্রাণুর বন্ধুত্ব
ক্রমেই হয়েছে গভীর।
ভোরের আলোতে দেখি, ক্লান্ত আমরা
দুজন দুদিকে, শুয়ে
অথচ দেখো, কত বছর কেটে গেল
এ হাত, তোমায় দেখেনি, ছুঁয়ে।
ভুলগুলোকে ভালোবেসে
কিছুদিন পূর্বে
আমার ভুলগুলো মৃত হয়ে
তোমাদের শ্মশানে ছিল দাঁড়িয়ে,
ঈশ্বর বলল, পুনর্জন্ম পাবি তুই
চিতায় ওদের পুড়িয়ে।
ভুলগুলো সব পুড়ে ছাই হয়েছে
আমার হয়নি পুনর্জন্ম।
সুখের মোহে মাতাল ছিলাম
বুঝিনি ভুলের মম।
ভুলগুলো পুনর্জন্ম নিয়ে
আছে, পাশে বসে
নতুন ভুলের জন্ম দিব
ভুলকে ভালোবেসে।
ভুলে ভুলে জীবন কাটুক
সঠিকের নেই প্রয়োজন
ভুল পথে যেদিন পা রেখেছি
ফেরায়নি কোনো আপনজন।