ডিএসইর প্রধান সূচক পতন, লেনদেন ৪০০ কোটির ঘরে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) প্রধান সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেন পরিমাণ আগের কার্যদিবস থেকে কমেছে। লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে এসেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বৃদ্ধির চেয়ে কমেছে দ্বিগুণ। লেনদেন ও প্রধান সূচক উত্থানে ফিরেছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বৃদ্ধির চেয়ে কমেছে বেশি।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৫১৬ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৭১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১২৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬২ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির ও কমেছে ৯৪টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ১৭১টির।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এরপর ইয়াকিন পলিমারের ২১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা, দেশবন্ধু পলিমারের ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ১৩ কোটি ৩ লাখ টাকা, এপেক্স ফুটওয়্যারের ১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, বিচ হ্যাচারীর ১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং খুলনা প্রিন্টিং ১০ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক ২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়েছে। সিএসই৫০ সূচক দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, সিএসই৩০ সূচক ৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমেছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬৫ কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৪৯টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৭২টির।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এরপর লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রূপালী ব্যাংকের ১ কোটি ৩ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৯৫ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার ৭৭ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ৫৭ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের ৩০ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৩০ লাখ টাকা, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২৮ লাখ টাকা, আমান কটনের ২৩ লাখ টাকা এবং ইয়াকিন পলিমারের ২০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।