সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১৫ থেকে ১৯ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে। পরের অবস্থান দ্বিতীয়তে ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান।  তৃতীয়তে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান। এই তিন খাতে লেনদেন ৪৫ শতাংশ।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে মোট ২১টি খাত রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ দশমিক ৯২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে এই তিন খাতে। ৫৫ দশমিক শূন্য আট শতাংশ লেনদেন হয়েছে বাকি ১৮ খাতে। 

শীর্ষে অবস্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২১ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৩০৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদনের ১৯ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এই খাতের ৩৪ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২১৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের ৩৬ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২০৫ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। 

এছাড়া মোট লেনদেনের আট দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়েছে ব্যাংক খাতে, প্রকৌশল খাতে সাত দশমিক ৪৭ শতাংশ, জ্বালানি ও শক্তি খাতে সাত দশমিক ৩৪ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে পাঁচ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, বিবিধ খাতে চার দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, আইটি খাতে তিন দশমিক ৯৮ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ডের খাতে তিন দশমিক ৫৫ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে দুই দশমিক ৬৪ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে দুই দশমিক ২৪ শতাংশ, সিরামিক খাতে দুই দশমিক ২৪ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে দুই দশমিক ২৩ শতাংশ, নন ব্যাংক আর্থিক খাতে এক দশমিক ৪৩ শতাংশ, টেলিকম খাতে এক দশমিক ১২ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৯৮ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৮২ শতাংশ, চামড়া খাতে দশমিক ৭৫ শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং করপোরেট বন্ড খাতে দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ লেনদেন হয়েছে।