প্রথম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার দাপট

দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্রুত অলআউট করার লক্ষ্যে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশে। তরুণ পেসার খালেদের বলে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই হলো মুমিনুলদের। কাইল ভেরেইনাকে ২২ রানে আউট করে বাংলাদেশকে আজ প্রথম সাফল্য এনে দিলেন খালেদ। এরপর তাইজুল ফেরান মুল্ডারকে। তবে উইকেটের দেখা পেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার রানের লাগাম ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। রানের চাকা দ্রুত বাড়িয়েছে স্বাগতিকরা। সবমিলে প্রথম সেশন দারুণ কেটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
গতকাল শুক্রবার প্রথম দিনের প্রথম সেশন একেবারেই ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। সে তুলনায় পরের দুই সেশনে কিছুটা আলো দেখেছে বাংলাদেশ। পরের দুই সেশনে তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে মুমিনুল হকের দল।
তবে, দিন শেষে মাথাব্যথার কারণ প্রোটিয়াদের স্কোরবোর্ড। গতকাল টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৭৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কাল দিনের প্রথম সেশনে মাত্র এক উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে নিয়েছে দুটি উইকেট। আর, শেষ সেশনে নিয়েছে দুটি উইকেট। কিন্তু, রানের কথা চিন্তা করলে বাংলাদেশের কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে। কারণ প্রথম দিনই দলীয় রান প্রায় তিনশর কাছাকাছি করে নিয়েছে ডিন এলগারের দল। আজ শনিবার সেটা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই, যত দ্রুত সম্ভব স্বাগতিকদের আজ থামানো চাই বাংলাদেশের। নয়তো রান বাড়িয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াবে এলগারের দল।
গতকাল টস হেরে ফিল্ডিং নামা বাংলাদেশ ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারত। নিজেদের ভুলে সেটা হয়নি। অবশ্য পরে আর ভুল করেনি বাংলাদেশ। খালেদের বলে কাটা পড়েন সারেল এরউইয়া। প্রোটিয়াদের দলীয় ৫২ রানে কট বিহাইন্ড করে এরউইয়াকে ফেরান খালেদ। চার রানে জীবন পাওয়া এরউইয়া ৪০ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন। প্রথম সেশনে এ একটি উইকেটই পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনে প্রোটিয়াদের দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। দুটি উইকেটই পান তাইজুল ইসলাম। ওপেনিংয়ে নেমে যাওয়া ডিন এলগারকে নিজের প্রথম শিকার বানান একাদশে ফেরা তাইজুল। বাংলাদেশি স্পিনারের বল থার্ড ম্যান দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন এলগার। কিন্তু, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। ৮৯ বলে ১০ চারে ৭০ রান করে সাজঘরে ফেরেন এলগার। এরপর পিটারসেনকে এলবির ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন এই স্পিনার। ১২৪ বলে ৬৪ রান করে বিদায় নেন পিটারসেন।
প্রথম দুই সেশনে মাত্র তিন উইকেট পায় বাংলাদেশ। সঙ্গে বাড়ে রানের চাপও। তাই, শেষ সেশনে উইকেট নেওয়ার খোঁজেই ছিল বাংলাদেশ। তবে, তৃতীয় সেশনে জমে যায় তেম্বা বাভুমা ও রায়ান রিকেলটনের জুটি। এ জুটি লম্বা সময় ধরে ভোগায় বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন তাইজুলই। ৪২ রানে আউট করেন রিকেলটনকে। এরপর বাভুমাকে ৬৭ রানে খালেদ বিদায় করলে অন্তত কিছুটা স্বস্তি পায় বাংলাদেশ।