শুরু হচ্ছে আর্জেন্টিনার ‘মিশন কোপা আমেরিকা’

প্যারাগুয়ের ফুটবলকে বদলে দেওয়ার কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন জেরার্দো মার্তিনো। ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে তাঁর অধীনে বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছিল প্যারাগুয়ে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তরণ। মার্তিনোর কোচিংয়ে পরের বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও চমক দেখিয়েছিল প্যারাগুয়ে। লাতিন আমেরিকার সেরা ফুটবল টুর্নামেন্টে ৩২ বছর পর ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অবশ্য জিততে পারেনি তারা। শনিবার রাতে সেই মার্তিনোই প্যারাগুয়ের প্রতিপক্ষ দলে। ২২ বছর পর কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের মিশনের সূচনায় মার্তিনোর দল আর্জেন্টিনা খেলবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে।
আলেসান্দ্রো সাবেলার অধীনে গত বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ায় ট্রফি স্পর্শ করা হয়নি মেসি-আগুয়েরো-দি মারিয়াদের। সেই হতাশা পেছনে ফেলে আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার শিরোপা এনে দিতে মরিয়া বিশ্বকাপের পর কোচের দায়িত্ব নেওয়া মার্টিনো। শিষ্যদের উজ্জীবিত করতেই বোধহয় তাঁর মন্তব্য, ‘বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়রা একটা শিরোপাও জিততে না পারলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য।’
আর্জেন্টাইনদের ‘প্রাণভোমরা’ যথারীতি অধিনায়ক লিওনেল মেসি। চারবারের ফিফা বর্ষসেরার সঙ্গে সার্জিও আগুয়েরো, কার্লোস তেভেজ, গনজালো হিগুয়াইন আর অ্যাঞ্জেল দি মারিয়ার উপস্থিতিতে আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা।
কোপা আমেরিকার ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের রক্ষণভাগও যথেষ্ট শক্তিশালী। পাবলো জাবালেতা, হাভিয়ের মাসচেরানো, নিকোলাস ওতামেন্দির মতো ডিফেন্ডারদের পেরিয়ে গোল করা সত্যিই কঠিন। চোট কাটিয়ে অভিজ্ঞ গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর দলে ফেরা ডিয়েগো ম্যারাডোনার দেশকে অনুপ্রাণিত করবেই। আর্জেন্টিনা যে এবারের কোপা আমেরিকার অন্যতম ফেভারিট তা মানতে দ্বিধা নেই মার্তিনোরও, ‘আমরা ভালো অবস্থায় আছি। একটা দুর্দান্ত প্রতিযোগিতার জন্যও আমরা প্রস্তুত। কোনো কিছু নিয়েই আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’
১৯৯৩ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বের প্রাচীনতম আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে ২২ বছরের শিরোপা-খরা ঘোচাতে বদ্ধপরিকর আর্জেন্টাইনদের ‘বি’ গ্রুপে প্যারাগুয়ে ছাড়া অন্য দুই প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ও জ্যামাইকা।