কুশল মেন্ডিসের শতকে প্রথম দিনটি শ্রীলঙ্কার

সকালের কয়েকটি ওভার কিন্তু ভিন্ন কথাই বলছিল। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে উপুল থারাঙ্গার আউটের পরের নো বলে কুশল মেন্ডিস বেঁচে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল, প্রথম দিনটি বাংলাদেশের হতে যাচ্ছে। তবে কোথায় কী, এরপর তো কুশল মেন্ডিসকেই আউট করতে পারল না বাংলাদেশ। তার ওপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে মুস্তাফিজ-তাসকিনদের ঘাড়ে চেপে বসেন আসেলা গুনারত্নে। এই দুজনের ১৯৬ রানের জুটিতে গল টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিল শ্রীলঙ্কা।
এরপর মেন্ডিসের প্রতিটি শটে শুভাশীষের করা সেই নো বলটিই বাংলাদেশের আক্ষেপ হয়ে থাকল। প্রথম দিন শেষে চার উইকেটে ৩২১ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ১৬৬ ও দিনের খেলা শেষ হওয়ার কয়েক ওভার আগে তাসকিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮৫ রান করেন গুনারত্নে। ডিকওয়েল্লা ১৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
আজ সকালে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচের টসভাগ্য যায় রঙ্গনা হেরাথের পক্ষে। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় ম্যাচটি। বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য দারুণ হয়েছিল। নিজের প্রথম ওভারে উপুল থারাঙ্গাকে দুর্দান্তভাবে বোল্ড করেছেন পেসার শুভাশীষ রায়। ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে শুভাশীষের দারুণ এক ইনসুইংয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হন থারাঙ্গা। পরের বলে কুশল মেন্ডিসকেও তুলে নিয়েছিলেন শুভাশীষ। উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছিলেন লিটন দাস। তবে নো বলের কারণে সেই যাত্রায় বেঁচে যান মেন্ডিস।
এরপর দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদেশকে বেশ ভোগান মেন্ডিস। তবে প্রথম সেশনের খেলা শেষ হওয়ার আগের ওভারে করুনারত্নেকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৬ বলে দুটি চারে ৩০ রান করেন করুনারত্নে।
এরপর উইকেটে এসে রানের জন্য যুদ্ধ করতে থাকেন দিনেশ চান্দিমাল। রান বের করতে ঘাম ছুটে যায় এই লঙ্কান ব্যাটসম্যানের। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে মাত্র ৫ রান করে মুস্তাফিজের বলে আউট হন চান্দিমাল। এরপর কুশল মেন্ডিস ও আসেলা গুনারত্নে লঙ্কানদের রানটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
খানিকবাদে হাফ সেঞ্চুরি করেন গুনারত্নেও। এই জুটিতে দারুণ এক রেকর্ড গড়েন মেন্ডিস-গুনারত্নে। এর আগে ২০০২ সালে কুমার সাঙ্গাকারা ও অরবিন্দ ডি সিলভার করা ১৫০ রানই ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে সবোর্চ্চ রানের রেকর্ড। আজ ১৫ বছর পর সেই রেকর্ডটি ভেঙে দিলেন এই দুজন।
গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনজন। সাব্বির রহমান, তাইজুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম রাব্বিকে মূল একাদশে নেওয়া হয়নি। তাঁদের পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস ও পেসার শুভাশীষ রায়কে।
বাংলাদেশ দল : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শুভাশীষ রায়।
শ্রীলঙ্কা দল : করুনারত্নে, উপুল থারাঙ্গা, জীবন মেন্ডিস, দিনেশ চান্দিমান, ডিকওয়েল্লা, গুনারত্নে, কুশল পেরেরা, রঙ্গনা হেরাথ, সুরঙ্গা লাকমল, লাহিরু কুমারা ও লক্ষণ সান্দকান।