মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ ঝড়েও বাংলাদেশের হার

শততম টেস্টের স্মৃতিটা এখনো তাজা। ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও প্রেরণা হয়ে উঠল কলম্বো জয়ের স্মৃতি। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না বাংলাদেশ। দুই রানে হেরে ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতিটা সারল লাল-সবুজের দল।
শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশের বিপক্ষে ৩৫৫ রানের পাহাড়ে চড়তে গিয়ে প্রথমেই পা হড়কায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়েছেন ইমরুল কায়েস। বিনুরা ফার্নান্দোর করা প্রথম বলেই ভিরাকোড্ডির হাতে ধরা পড়েন ইমরুল। বাংলাদেশ তখনো রানের খাতা খোলেনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। এই জুটিতে মাত্র ১৬ ওভারে আসে ১১৬ রান। এরপরই আউট হন সৌম্য। ৪৩ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ে ৪৭ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।
এরপর দলীয় ১২৪ রানে ফিরে যান সাব্বির। ৬৩ বলে ৭২ রান করেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। সাব্বির বিদায়ের খানিক বাদে বিদায় নেন মুশফিক। ২০ রান করেন টেস্ট দলের এই অধিনায়ক। এ সময় রান বাড়ানোর দায়িত্বটা তুলে নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে দলীয় ২১৮ রানে হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হন সৈকত। ৫০ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। এরপর শুভাগত হোম ও সানজামুল দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে হারের আগে হারার মানুষ তো মাশরাফি নন। উইকেটে এসেই পাল্টা আক্রমণ চালান টাইগার দলনেতা। ৩৫ বলে চারটি চার ও সমান সংখ্যক ছয়ে ৫৩ রান করে বাংলাদেশকে জয়ের কাছে নিয়ে আসেন মাশরাফি। ৪৯তম ওভারে ম্যাশ আউট হলে বাংলাদেশের জয় নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। তবে ৯ রানের বেশি নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬৮ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।
এর আগে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মতুর্জা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৪ রান করেছে শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশ।
ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন দিলশান মুনাবিরা ও কুশল পেরেরা। তবে ষষ্ঠ ওভারে মুনাবিরাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। ২১ বলে ২৪ রান করেন মুনাবিরা। কুশল পেরেরা রয়েসয়ে খেললেও সানদান ভিরোকোড্ডি মাশরাফি-তাসকিনদের বেদম পেটাতে থাকেন। অষ্টম ওভারেই ৫০ রান তুলে নেয় দলটি। এরপর ১৫তম ওভারে শতরানের কোটাও পার করে স্বাগতিকরা। ৩৮ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ভিরাকোড্ডি। তবে ২৪তম ওভারে আউট হন বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে থাকা ভিরাকোড্ডি। মাত্র ৫৪ বলে আটটি চার ও দুটি ছয়ে ৬৭ রান করেন তিনি।
এরপর ৬৪ রান করার পর অবসরে যান কুশল পেরেরা। এরপর অধিনায়ক মিলিন্দ সিরিবর্ধনেকে ফিরিয়ে দেন সানজামুল ইসলাম। তবে অপরপ্রান্তে ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে থামাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৪১ রান করা থিসারা পেরেরাকে ফেরান মাশরাফি। শেষ পর্যন্ত ৩৫৪ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।