ইউরো থেকে ডাচদের বাদ পড়ার শঙ্কা

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নেদারল্যান্ডস সর্বশেষ দর্শকের ভূমিকায় ছিল ১৯৮৪ সালে। তবে চার বছর পর ফিরেই খুলিত-ফন বাস্তেন-রাইকার্ডদের নৈপুণ্যে শিরোপা জিতে নিয়েছিল তারা। দীর্ঘ তিন দশক পর আবার ইউরোপের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা ডাচদের সামনে। ইউরো-২০১৬-এর বাছাইপর্বে আইসল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ায় বেশ বিপদেই পড়ে গেছে বিশ্বকাপের তিনবারের রানার্সআপরা।
আগামী বছর ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো ২৪টি দল অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। ফুটবলাঙ্গনে ইউরো নামে পরিচিত এই প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে ফরাসিরা। বাছাইপর্বের নয়টি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ এবং সেরা তৃতীয় দল পাবে ফ্রান্সের টিকেট। বাকি চারটি জায়গার জন্য গ্রুপ পর্বে তৃতীয় হওয়া আটটি দল প্লে-অফে মুখোমুখি হবে।
ছয়টি দল নিয়ে গড়া ‘এ’ গ্রুপে নেদারল্যান্ডসের অবস্থা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ এখন। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে তারা। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তুরস্কের অবস্থান চতুর্থ। গ্রুপের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে আইসল্যান্ড (১৮) ও চেক প্রজাতন্ত্র (১৬)। চারটি দলেরই আর তিনটি করে ম্যাচ বাকি।
বৃহস্পতিবার রাতে আমস্টারডাম অ্যারেনায় যেন শুরু থেকেই দুর্ভাগ্য পিছু নিয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। ৩১ মিনিটে কুঁচকির চোটে পড়ে অধিনায়ক আরিয়েন রোবেনের মাঠের বাইরে চলে যাওয়া দিয়ে ডাচদের দুর্ভাগ্যের সূচনা। দুই মিনিট পর স্বাগতিকদের জন্য আরেকটি ধাক্কা, সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার ব্রুনো মার্টিনস ইন্ডি। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় আইসল্যান্ড। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার গিলফি সিউর্ডসন। বাকি সময়ে ১০ জনের দল নিয়ে সমতা ফেরাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। আর তাই প্রথমবারের মতো ইউরোতে অংশ নেওয়ার হাতছানি উত্তর ইউরোপের দ্বীপ আইসল্যান্ডের সামনে।