চলে গেলেন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সাহসী খেলোয়াড়

ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। তবে ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি সেজন্য জায়গা করে নেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত সব দ্রুতগতির বোলারকে খুবই সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করে ক্রিকেট বিশ্বে স্থায়ী আসন পেয়েছেন ব্রায়ান ক্লোজ। সেই সঙ্গে শর্ট লেগে সাহসিকতার সঙ্গে ফিল্ডিং করার জন্য তিনি পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সাহসী ক্রিকেটারের সম্মান। সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক গত রোববার মারা গেছেন ৮৪ বছর বয়সে।
১৯৪৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ক্লোজের। তারপর তিনি খেলেছিলেন ২২টি টেস্ট। ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাতটি টেস্টে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ২২টি টেস্ট খেলে করেছিলেন ৮৮৭ রান। ডানহাতি অফস্পিন দিয়ে শিকার করেছেন ১৮টি উইকেট। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত মোটামুটি নিয়মিতভাবেই খেলেছিলেন ব্রায়ান ক্লোজ। কিন্তু তারপর দীর্ঘদিন ছিলেন দলের বাইরে। ১৯৭৬ সালে হঠাৎ করেই আবার দলে ডাকা হয় এই ইংলিশ ক্রিকেটারকে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪৫ বছর। সে সময়ের ইংল্যান্ড দলে তিনি আবার সুযোগ পেয়েছিলেন সাহসিকতার জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্ধর্ষ বোলারদের বুক চিতিয়ে মোকাবিলা করার মতো ব্যাটসম্যান খুঁজে পাচ্ছিলেন না ইংল্যান্ডের নির্বাচকরা। ক্লোজও দিয়েছিলেন আস্থার প্রতিদান।
নিজের শেষ ইনিংসে তিনি ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে। অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিংদের ক্ষুরধার বোলিং দারুণভাবে মোকাবিলা করে খেলেছিলেন ১০৮ বলে ২০ রানের সাহসী ইনিংস। তিন ম্যাচের শেষ সিরিজটায় ক্লোজ খেলেছিলেন ৬০ ও ৪৬ রানের দুটি ইনিংস। একবার অপরাজিত ছিলেন ৩৬ রানে।
ওয়ানডে ক্রিকেটের একেবারে প্রথম যুগে তিনটি একদিনের ম্যাচও খেলেছেন ক্লোজ। ১৯৭১ সালে একদিনের ক্রিকেটের প্রথম সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে করেছিলেন ৪৯ রান। তিন ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি।