হকি খেলোয়াড়দের 'ডিগবাজি'

দলবদলের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় হকি দলের খেলোয়াড়রা ক্যাম্প বর্জন করে আসছিলেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রোববার রাতে কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সহসভাপতি আবদুস সাদেকের গুলশানের বাসভবনে এই গোপন বৈঠকে বসেন তাঁরা। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দিতে রাজিও হয়েছিলেন। অবশ্য রাতে রাজি হয়ে খেলোয়াড়রা সোমবার সকালেই আবার অস্বীকার করেন ক্যাম্পে যোগ দিতে।
রোববার রাতের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এদিন বিকেলেই ক্যাম্পে যোগ দেবেন তাঁরা। দলবদল না হওয়ায় খেলোয়াড়রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে ফেডারেশনের কাছে কিছু আর্থিক সুবিধা চেয়েছিলেন তাঁরা। তাতেও রাজি হয়েছেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু খেলোয়াড়রা তাঁদের অবস্থান থেকে সরে আসায় অনেকটা বিপাকেই পড়েছে ফেডারেশন।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব এহসান রানা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘খেলোয়াড়রা কেনই বা আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। ক্যাম্পে যোগ দিতে রাতে রাজি হয়ে আবার সকালে অস্বীকার করলই বা কেন? এটি একেবারে অন্যায় আচরণ হয়েছে তাদের।’
তবে সিনিয়র খেলোয়াড়দের এক লাখ এবং জুনিয়রদের ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়ার যে কথা উঠেছে, তা ঠিক নয় বলে জানান তিনি, ‘এটা সত্য, খেলোয়াড়রা আমাদের কাছে কিছু টাকা চেয়েছে। আমরা বলেছি, ফেডারেশনের সাধ্য অনুযায়ী তাদের কিছু করে টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু এক লাখ বা ৩০ হাজার টাকার প্রসঙ্গই বৈঠকে ওঠেনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে খবরটি এসেছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন।’
দলবদলের দাবিতে এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও এসএ গেমস ক্যাম্প বর্জন করেছিলেন তাঁরা। সার্ভিসেস দলগুলোর বাইরে থাকা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বর্জনের কারণেই হকি ফেডারেশন বাধ্য হয়েই সেই ক্যাম্প স্থগিত করেছিল।
গত বৃহস্পতিবার আবার নতুন করে ক্যাম্প শুরু করার সিদ্ধান্ত হলেও বিদ্রোহী খেলোয়াড়রা সেই অনড় অবস্থানেই ছিলেন। দলবদলের তারিখ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পে যাবেন না বলে ফেডারেশনকে জানিয়েও দিয়েছিলেন তাঁরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেশন এই গোপন বৈঠকে বসেছিল। তাও শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি।