মার্টিন ক্রোর অনন্য সম্মান

১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ১৯ বছর বয়সে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মার্টিন ক্রোর। ৩৩ বছর পর সেই মাঠেই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সম্মানে ভূষিত হলেন নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ৭৯তম ক্রিকেটার হিসেবে প্রবেশ করলেন ক্রিকেটের হল অব ফেমে। রিচার্ড হ্যাডলি ও ডেবি হকলির পর নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই সম্মান পেলেন তিনি।
শনিবার নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ‘হাই ভোল্টেজ’ ম্যাচ দেখতে ইডেন পার্কে হাজির হয়েছিল প্রায় ৪০ হাজার দর্শক। ম্যাচ শুরুর আগে গ্যালারিভরা দর্শকদের সামনে মার্টিন ক্রোর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি স্মারক টুপি।
ক্রিকেট-কিংবদন্তিদের পাশে জায়গা করে নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়। ব্লাড ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া মার্টিন ক্রো বলেছেন, ‘এই সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই খুশি। বিশেষ করে আমার বন্ধু রিচার্ড হ্যাডলির পাশে নাম লেখাতে পেরে।’ এই পুরস্কার বাবা ডেভ ও মা অড্রিকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।
৭৭ টেস্টে ৫,৪৪৪ রান করা মার্টিন ক্রো টেস্টে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭টি শতকের মালিক। ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর ২৯৯ রান দীর্ঘদিন টেস্টে কোনো নিউজিল্যান্ডারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল। গত বছর ভারতের বিপক্ষে ৩০২ রান করে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
১৯৯৫ সালে অবসর নেওয়ার আগে ১৪৩টি ওয়ানডে খেলে ৪৭০৪ রান করেছেন মার্টিন ক্রো। নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৬টি টেস্ট ও ৪৪টি ওয়ানডেতে।
১৯৯২ বিশ্বকাপ তাঁর দুর্দান্ত ব্যাটিং ও অধিনায়কত্বে ভাস্বর হয়ে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। ওই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। সেমিফাইনালে মার্টিন ক্রোর ৮৩ বলে ৯১ রানের ওপরে ভর করে ২৬২ রান তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ইনজামাম-উল-হকের ৩৭ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস চার উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দেয় পাকিস্তানকে। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয় ইমরান খানের দল।