মুস্তাফিজ কি একশ ম্যাচের একশটিতেই ভালো করবে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/02/27/photo-1456514249.jpg)
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে একেবারেই বিবর্ণ ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ভারতের বিপক্ষের সেই ম্যাচে সাফল্য না পাওয়ায় প্রশ্ন ওঠে, কী হলো এই বাঁহাতি পেসারের। দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এই তরুণ তুর্কি। আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ঠিকই।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষের ম্যাচে মুস্তাফিজ নির্ধারিত চার ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান খরচায় দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন। অবশ্য আগের ম্যাচে চার ওভারে ৪০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাই মনে করেন, কারো পক্ষেই সম্ভব না সব ম্যাচেই ভালো করা। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজের পক্ষেও সম্ভব না একশ ম্যাচের একশটিতেই সাফল্য পাওয়া। তাঁর ওপর প্রত্যাশার ভার চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সে প্রমাণ করেছে, মানসিক দৃঢ়তা যথেষ্টই আছে তাঁর।’
আগের ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘মুস্তাফিজ আগের ম্যাচে সাফল্য না পাওয়ায় আমি কখনোই অস্বস্তিতে ছিলাম না তাঁকে নিয়ে। কারণ আমি জানি, সময়মতো সে নিজেকে মেলে ধরবে। তাঁর সেই ক্ষমতা রয়েছেও। দ্বিতীয় ম্যাচে সে সেটা প্রমাণও করেছে।’
অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই বাঁ কাঁধে ব্যথা অনুভব করছিলেন মুস্তাফিজ। বিশেষ করে কাটার বা উল্টো দিকে হাত ঘুরিয়ে বল করার সময় অস্বস্তিবোধ হচ্ছিল তাঁর। তাই গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি।
মাঝখানে কিছুদিন জাতীয় দলের ফিজিওর অধীনে আলাদা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হয়েছে মুস্তাফিজকে। কিছুটা সেরে ওঠায় এশিয়া কাপের দলেও সুযোগ দেওয়া হয় এই তরুণ পেসারকে। কিন্তু আসরের সূচনাতেই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় সাফল্য পাওয়ায় তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া শঙ্কাও দূর হয়েছে।