পাকিস্তান-জয়ের স্মৃতি এখনো টাটকা

দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার হাতছানি নিয়ে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ এই ম্যাচে জয় পেলেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবে মাশরাফি বাহিনী। হারলেও সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে না, তবে অনেক জটিল হিসাব-নিকাশ নিয়ে বসতে হবে বাংলাদেশকে। সেসব জটিলতার মধ্যে না গিয়ে জয় দিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
দুই দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে বাংলাদেশের জয়টা কঠিন কিছু মনে হচ্ছে না। আর দুই দলের শেষবারের মুখোমুখি লড়াইয়েও যে বাংলাদেশই জিতেছিল, এই তথ্যটাও আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে।
২০১৫ সালে বিশ্বকাপের পর পরই বাংলাদেশ সফরে এসে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল পাকিস্তান। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল আফ্রিদিদের। ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেই ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ওপেনার সৌম্য সরকারের।
শুরুতে বোলিং করে মুস্তাফিজ, সাকিব, তাসকিনের দারুণ নৈপুণ্যের সুবাদে পাকিস্তানকে ১৪১ রানে আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিলেন সাকিব ও সাব্বির রহমান। দুজনেই খেলেছিলেন অর্ধশতকের ইনিংস। সাব্বির এবারের এশিয়া কাপেও দেখাচ্ছেন দুর্দান্ত নৈপুণ্য। ভারতের বিপক্ষে ৪৪ রানের লড়াকু ইনিংসের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন ৫৪ বলে ৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। সাকিব প্রথম দুই ম্যাচে কিছুটা নিষ্প্রভ হয়ে থাকলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে। ব্যাট হাতে ৩২ রানের পর বল হাতেও নিয়েছেন দুটি উইকেট।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের এই অঘোষিত ‘সেমিফাইনালে’ বাংলাদেশ অবশ্য পাচ্ছে না মুস্তাফিজকে। ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন এই বাঁ-হাতি পেসার। তবে বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে আশা জাগিয়ে আবার দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের ক্ষুরধার পেস আক্রমণের সামনে অভিজ্ঞ এই ওপেনার দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারবেন, এমন আশা নিয়েই অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।