এ কেমন আম্পায়ারিং!
ডাগআউটে বসে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না ড্যারেন স্যামি-ডোয়াইন ব্রাভোরা। কোমরের বেশ ওপরে সরাসরি আসা বলটা যে নো বল ছিল, তা নিয়ে দ্বিমত করার মানুষ হয়তো খুব কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু আম্পায়ার যেন ছিলেন অন্য জগতে। নিশ্চিত একটি নো বল ও ফ্রি-হিট থেকে বঞ্চিত হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেমিফাইনালে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠল অবধারিতভাবেই।
ঘটনাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ১১তম ওভারে। বোলিং করছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। বোলিং করছিলেন লেন্ডল সিমন্সকে। একটি ছয় ও একটি চার খাওয়ার পর জাদেজার শেষ বলটা ছিল ফুলটস। সিমন্সের কোমড়ের বেশ ওপরে। কিন্তু আম্পায়াররা সেটাকে বৈধ বলেই বিবেচনা করেছেন। ডাগআউটে বসে ব্যাপারটি কিছুতেই মানতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। বলটি নো ঘোষণা করলে একটি বাড়তি রানের পাশাপাশি ফ্রি-হিট থেকে বাউন্ডারি হাঁকানোর সুযোগ পেতেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা।
অথচ ভারতের ইনিংসের সময় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারের একটি বাউন্সারে নো বল ডাকেননি আম্পায়ার। কিন্তু বিরাট কোহলি আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে আপিল করার পরই নো বল ডেকেছিলেন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড।
এবারের বিশ্বকাপে আরো বেশ কয়েকবার তৈরি হয়েছিল আম্পায়ারিং বিতর্ক। আজ ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের পরও সেই বিতর্ক হয়তো আরো জোড়ালো হবে। ভারতকে টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রাখতে আম্পায়াররাও সহায়তা করেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠবে নতুন করে।