অবিশ্বাস্যভাবে হারল মাশরাফির কলাবাগান

এভাবেও হারা যায়! না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিলই বটে। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচটি অবিশ্বাস্যভাবেই হেরে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। শেষমুহূর্তের ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ৯ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাশরাফি বাহিনীকে।
২৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল কলাবাগান। শেষ ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৫ রান। হাতে ছিল ৭ উইকেট। শতরানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন জিম্বাবুয়ের তারকা ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। সব কিছুই ছিল কলাবাগানের পক্ষে। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে যে তাদের ইনিংস তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে, তা কে-ই বা ভাবতে পেরেছিল। একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষপর্যন্ত ব্যাটিংও করতে পারেনি কলাবাগান। চার বল বাকি থাকতেই তাদের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ২৫৩ রানে। শেষ ২৬ বলে মাত্র ১৫ রান সংগ্রহ করতেই মাশরাফির দল হারিয়েছে সাতটি উইকেট।
শুরুটা হয়েছিল ৪৬তম ওভারে মেহরাব হোসেন জুনিয়রকে দিয়ে। মাত্র ৬ রান করে নাবিল সামাদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে কলাবাগান খায় জোড়া ধাক্কা। এক ওভারেই আউট হন মাশরাফি (২) ও মাসাকাদজা (১১১)। পরের দুই ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন তানভির আহমেদ (১) ও শরিফুল্লাহ (৬)। এ সময় বেশ জটিল হয়ে যায় কলাবাগানের জয়ের সমীকরণ। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। হাতে ছিল দুই উইকেট। কিন্তু শেষ ছয়টা বলও ব্যাটিং করতে পারেনি কলাবাগান। প্রথম দুই বলেই আউট হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক (৪) ও দেওয়ান সাব্বির (০)। ৯ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
অথচ মাসাকাদজার দারুণ শতকে ভর করে জয়ের পথে অনেকখানিই এগিয়ে গিয়েছিল কলাবাগান। ১০৫ বলে ১১ রান করেছিলেন জিম্বাবুয়ের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৩০ রানের দুটি ইনিংস এসেছিল দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জসিমুদ্দিনের ব্যাট থেকে। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রান করেছিলেন তাসমাউল হক। কিন্তু এরপর কলাবাগানের আর কোনো ব্যাটসম্যানই পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক তুষার ইমরানের ৭৭ ও ওপেনার ইমরুল কায়েসের ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২৬২ রান জমা করেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন।