অ্যান্টিগা টেস্টে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ

জীবনের প্রথম পাঁচ টেস্টেই তিনটি ফিফটি। যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিশীল সূচনা। ষষ্ঠ টেস্টে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তবে তাঁর দারুণ শতকের পরও অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে স্বস্তিতে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বুধবার তৃতীয় দিনে ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংস ২৯৫ রানে শেষ করে ১০৪ রানের লিড পেয়েছে ইংল্যান্ড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে গ্যারি ব্যালেন্স আর জো রুটের দৃঢ়তায় তিন উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে। সব মিলিয়ে সাত উইকেট হাতে নিয়ে অতিথিরা এগিয়ে আছে ২২০ রানে।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে পাঁচ উইকেটে ১৫৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা ক্যারিবীয়দের আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন ২৯ রানে অপরাজিত শিবনারায়ণ চন্দরপল। তবে স্বাগতিকদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বেশি দূর যেতে পারেননি, ৪৬ রান করে জেমস ট্রেডওয়েলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন বেন স্টোকসকে। তার আগেই অবশ্য মাহেলা জয়াবর্ধনেকে (১১,৮১৪) পেছনে ফেলে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে গেছেন চন্দরপল (১১,৮২১)।
আগের দিন স্লিপে ক্যাচ দিয়েও নো বলের ‘আশীর্বাদে’ বেঁচে গিয়েছিলেন ব্ল্যাকউড। ৩০ রান নিয়ে দিন শুরু করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান বুধবার আরেকটি ‘জীবন’ পান। তবে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে ক্যাচ দিয়েও ট্রেডওয়েলের ‘কৃপা’য় বেঁচে যাওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাননি। অন্য প্রান্ত থেকে তেমন সমর্থন না পেলেও দৃঢ়তার সঙ্গে খেলে পেয়ে গেছেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাকউডকে আউট করতে পারেনি ইংল্যান্ড। তাঁর অপরাজিত ১১২ রানের চমৎকার ইনিংসটা গড়ে উঠেছে ১৪টি চার ও দুটি ছক্কায়। টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের পথে ৪৭ রানে চার উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার ট্রেডওয়েল।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। দলীয় ১৫ রানে জোনাথন ট্রটকে কট বিহাইন্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম সাফল্য এনে দেন জেরম টেলর। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া ট্রট এবার করেছেন ৪ রান। টেলরের পরের ওভারে আবার ইংল্যান্ডের জন্য আঘাত। এবার অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের (১৩) বিদায়। ২০ রানে দুই ওপেনারকে হারানো অতিথিদের তৃতীয় ধাক্কা দেন ইয়ান বেল (১১) রান আউট হয়ে। তবে ৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর দলের আর কোনো ক্ষতি হতে দেননি ব্যালেন্স ও রুট। দিন শেষে ব্যালেন্স ৪৪ আর রুট ৩২ রানে অপরাজিত।