ওয়ানডে সিরিজে আত্মবিশ্বাসী আজহার

বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেকে বিদায় জানিয়েছেন মিসবাহ-উল হক। পাকিস্তান ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব এখন আজহার আলীর কাঁধে। এই দায়িত্বকে ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে অধিনায়কত্বের অভিষেকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে সিরিজে দলের সাফল্যের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী আজহার। যদিও স্বাগতিক দলকে হারানো সহজ হবে না বলেই মনে হচ্ছে তাঁর।
একে তো পাকিস্তানের এই দলে তরুণদের ছড়াছড়ি, তার ওপরে চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন শোয়েব মাকসুদ, সোহেল খান আর ইয়াসির শাহ। এঁদের মধ্যে লেগস্পিনার ইয়াসির আহত হয়েছেন একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে।
নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর অবস্থা। তবু আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়কের কণ্ঠে। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দল তারুণ্যনির্ভর হলেও প্রত্যেক খেলোয়াড়ই যোগ্য। এই দল নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো করা সম্ভব। চোটের কারণে তিনজন দল থেকে ছিটকে পড়ায় আমাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে ঠিকই। তবে তাদের জায়গায় যারা এসেছে তারা প্রত্যেকেই ভালো ক্রিকেটার।’
গত কিছু দিনে বাংলাদেশ দল যে উন্নতি করেছে তা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই আজহারের। যদিও নিজের দলের সাফল্য নিয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী, ‘বাংলাদেশ দল অনেক উন্নতি করেছে। তবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী বিভাগ বোলিং। ব্যাটসম্যানরাও অবশ্য পিছিয়ে নেই।’
প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের কাছে পরাজয় প্রথম ওয়ানডেতে দলের ওপর তেমন প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন আজহার, ‘প্রস্তুতি ম্যাচের সঙ্গে ওয়ানডে ম্যাচের অনেক পার্থক্য। তাই বিসিবি একাদশের সঙ্গে হারের প্রভাব শুক্রবারের ম্যাচে পড়বে না বলেই আমার বিশ্বাস।’
অধিনায়কের সঙ্গে একমত পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনিসও। এ প্রসঙ্গে সাবেক গতি-তারকার অভিমত, ‘প্রস্তুতি ম্যাচে খেলোয়াড়দের যাচাই করার সুযোগ কাজে লাগানো হয়। এসব ম্যাচে জয়-পরাজয় তেমন বড় কিছু নয়।’
মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই সিরিজে স্বাগতিকদের ফেভারিট ঘোষণা করেছেন নির্দ্বিধায়। ওয়াকারও প্রতিপক্ষকে এগিয়ে রাখতে দ্বিধা করছেন না, ‘বাংলাদেশ দলে কয়েকজন ম্যাচ উইনার আছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। তারা নিজেদের ফেভারিট দাবি করতেই পারে। আমাদের দলটা তারুণ্যনির্ভর। সব দিক বিবেচনা করে এই সিরিজে বাংলাদেশকেই ফেভারিট বলা উচিত।’