চেলসি থেকে দ্রগবার ‘রাজসিক’ বিদায়

এবারের মৌসুম শেষে ইউরোপের ক্লাব ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন বেশ কয়েকজন তারকা। লিভারপুল ছেড়েছেন স্টিভেন জেরার্ড। বার্সেলোনা থেকে বিদায় নিয়েছেন জাভি। এবার একই পথে হাঁটলেন চেলসির বহু সাফল্যের রূপকার দিদিয়ের দ্রগবা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতে বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখলেন আইভরি কোস্টের ৩৭ বছর বয়সী তারকা স্ট্রাইকার।
২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্যারিয়ারের সেরা সময় চেলসিতে কাটিয়েছিলেন দ্রগবা। সেই সময় তাঁর দুর্দান্ত নৈপুণ্যের সুবাদে চেলসি জিতেছিল তিনটি প্রিমিয়ার লিগ, চারটি এফএ কাপ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনো পর্যন্ত চেলসির একমাত্র শিরোপা জয় ২০১১-১২ মৌসুমে। ফাইনালে দারুণ খেলে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন দ্রগবাই।
চেলসিকে প্রথমবারের মতো ইউরোপ-সেরার আসনে বসিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন দ্রগবা। পাড়ি জমিয়েছিলেন চীনে। তারপর তুরস্কের ক্লাব গ্যালাতাসারাই হয়ে গত বছর ফিরে আসেন প্রিয় ক্লাব চেলসিতে। দ্রগবার উপস্থিতি পাল্টে দিয়েছে ‘ব্লুজ’কে। পাঁচ মৌসুম পর চেলসি জিতেছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। রোববার শেষ ম্যাচে সান্ডারল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষটা করেছে ‘সর্বাঙ্গ সুন্দর’। ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নিজের শেষ ম্যাচে দ্রগবার কাঁধেই ছিল অধিনায়কত্ব। পুরো ম্যাচ অবশ্য খেলেননি। ২৮ মিনিট পরে মাঠ ছেড়েছেন বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে। সতীর্থরা তাঁকে ডাগ আউট পর্যন্ত নিয়ে গেছে কাঁধে তুলে।
ম্যাচ শেষে দ্রগবার প্রশংসা করে চেলসি কোচ জোসে মরিনিয়ো বলেছেন, ‘অধিনায়কের বাহুবন্ধনী দ্রগবাকে দেওয়া হয়েছে জন টেরির ইচ্ছায়। তাঁকে কাঁধে তুলে মাঠের বাইরে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়রাই নিয়েছে। কারণ সবাই তাঁকে খুব পছন্দ করে। দ্রগবা তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এক আদর্শ। ইডেন হ্যাজার্ড, উইলিয়ান, অস্কাররা তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছে। এবারের মৌসুমে আমাদের সাফল্যে তাঁর বিশাল অবদান।’
বিদায়বেলায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দ্রগবা। তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য খুব কঠিন মুহূর্ত। তবে বিশেষ মুহূর্তও বটে। কারণ চেলসির খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমার শেষ ম্যাচ।’ সব শেষে দলের মালিক, কোচ, বর্তমান ও সাবেক সতীর্থ এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
চেলসি থেকে বিদায় নিলেও ফুটবলকে এখনই বিদায় বলার ইচ্ছা নেই দ্রগবার। আরো অন্তত এক বছর খেলতে চান তিনি। তবে পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাননি দুবারের আফ্রিকান বর্ষসেরা ফুটবলার।