আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের ১৭ বছর

২০০৬ সালের ৬ আগস্ট। আজকের এই দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরু হয় তার পথচলা। কে জানত ছিমছিমে গড়নের সেই ছেলেটাই দাপিয়ে বেড়াবে বিশ্ব ক্রিকেটে। বলছি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কথা। দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রীড়াবিদ তো বটেই, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর বাংলাদেশের জার্সিতে আরও ১৭টা বছর বীরত্বের সঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিজের অভিষেক ম্যাচে বল হাতে ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাকিব। পরে ব্যাট হাতে ৪৯ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জেতান। সেদিনের ৮ উইকেটের জয়টি ছিল কেবল শুরু।
এরপর সাকিব কি করেছেন, তা ভালোই জানা ভক্ত-সমর্থকদের। সোনায় মোড়ানো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সাকিব খেলেছেন ৬৬ টেস্ট, ২৩৫ ওয়ানডে ও ১১৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ৫ টেস্ট সেঞ্চুরিতে ৪৪৫৪ রানের মালিক সাকিব। ওয়ানডেতে ৯ সেঞ্চুরিতে ৭২১১ রান করেছেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টিতেও সফল সাকিবের সংগ্রহ ২৩৮২ রান। ২৩৩ টেস্ট উইকেট, ৩০৫ ওয়ানডে উইকেট ও ১৪০ টি-টোয়েন্টি উইকেটের মালিক এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
গত ১৭ বছরে অলরাউন্ডারদের মধ্যে সাকিবের ধারেকাছে কেউই ছিলেন না। বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণেই একসঙ্গে এক নম্বর অলরাউন্ডার হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। প্রায় এক যুগ ধরে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে আধিপত্য ছিল শুধু সাকিবের। এখনো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব। আছেন টেস্টের শীর্ষ অলরাউন্ডারদের তালিকার তিন নম্বরে।
নিজের ক্যারিয়ারের শেষটা কোথায় করতে চান, এই বিষয় কখনও কিছুই বলেননি সাকিব। তবে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ইচ্ছে আরও কয়েকটি বছর দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার। হয়তো সাকিবের সেই অপেক্ষা একটি বিশ্বকাপ শিরোপার।