স্পোর্টসওয়াশিং নিয়ে ভাবছেন না সৌদি যুবরাজ
গত মৌসুমে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দলে ভিড়িয়েছে আল-নাসের। সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি এরপরই আলোচনায় আসে। একইসঙ্গে আলোচনায় আসে সৌদি আরবের ফুটবল। সেই থেকে শুরু। রোনালদোর পর সৌদি প্রো লিগে একে একে যোগ দেন করিম বেনজেমা, নেইমার, সাদিও মানে, এনগোলো কান্তে, ইয়াসিন বোনোদের মতো তারকারা। কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করে এসব খেলোয়াড়দের কিনেছে আল-নাসের, আল-ইত্তিহাদ, আল-হিলালের মতো ক্লাবগুলো। এক সময়ে পিছিয়ে থাকা এসব ক্লাবের নাম এখন ফুটবল ভক্তদের প্রায় সবার জানা।
সৌদি ফুটবলের প্রসারে সরাসরি কাজ করছে দেশটির সরকার, ক্রীড়াক্ষেত্রে ঢালছে অর্থ। আন্তর্জাতিকমানে নিয়ে যেতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। আর এই বিষয়টিকেই পশ্চিমা গণমাধ্যম আখ্যা দিয়েছে ‘স্পোর্টসওয়াশিং’ হিসেবে।
স্পোর্টসওয়াশিং বলা হয়েছে নেতিবাচক অর্থে। দ্য গার্ডিয়ানের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্কাই স্পোর্টস একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত দুবছরে ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।
জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের বৃহস্পতিবারের একটি ভিডিওতে কথা বলতে দেখা যায় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে। সেই ভিডিওতে স্পোর্টসওয়াশিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে এটি নিয়ে ভাবি না। খেলাধুলা থেকে যদি আমার দেশের জিডিপি এক শতাংশও বাড়ে, তাহলেও আমি এখানে বিনিয়োগ করব। আমরা বরং চাইব, কীভাবে তা দেড় শতাংশে উন্নীত করা যায়।’