নেশন্স লিগ ফাইনাল
রোনালদোর পর্তুগালের সামনে ইয়ামালের স্পেন

আন্তর্জাতিক ফুটবলের উত্তাল মঞ্চে ফের মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের অন্যতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী—স্পেন ও পর্তুগাল। রোববার (৮ জুন) দিনগত রাত ১টায় মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শিরোপার লড়াইয়ে নামবে দুই পরাশক্তি। ম্যাচটি শুধু ফাইনাল নয়, বরং ইতিহাস, বর্তমান আর ভবিষ্যতের মাঝে দাঁড়িয়ে এক অনন্য রোমাঞ্চের নাম।
দুই দলের এই লড়াইয়ে সামনে থাকছেন দুই ভিন্ন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী দুই তারকা। একদিকে ৪০ ছর বয়সী পর্তুগিজ যুবরাজ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, যিনি সম্ভবত তার শেষ আন্তর্জাতিক শিরোপার সন্ধানে নেমেছেন। অন্যদিকে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে স্পেন দলে জায়গা করে নেওয়া বিস্ময়বালক লামিনে ইয়ামাল, যার চোখে এখন শুধু ভবিষ্যতের সম্ভাবনার আলো।
সেমিফাইনালে স্বাগতিক জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পর্তুগাল। অন্যদিকে, ৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে জায়গা পেয়েছে স্পেন। ম্যাচের নাটকীয়তা তখনই আভাস দিয়েছিল, ফাইনালে আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছে।
স্পেন-পর্তুগালের দ্বৈরথ মানেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের উত্তপ্ত স্মৃতি। ২০১২ ইউরোর সেমিফাইনাল কিংবা ২০১৮ বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর সেই বিখ্যাত হ্যাটট্রিক—প্রতিবারই এই লড়াই জন্ম দিয়েছে ক্লাসিক মুহূর্তের। নেশন্স লিগের আগের আসরগুলোতেও গ্রুপ পর্বে একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। প্রায় প্রতিটি ম্যাচে ছিল টানটান উত্তেজনায় ঠাসা লড়াই।
এই ম্যাচেও উত্তেজনার কোনো ঘাটতি নেই। শিরোপা জয়ের হাতছানি তো আছে, সঙ্গে রয়েছে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার দীর্ঘদিনের ইতিহাস। দুই দলই জানে, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলে না।
নতুন প্রজন্মের স্পেন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতের ফুটবলে তাদের আধিপত্যের ইঙ্গিত স্পষ্ট। অন্যদিকে, সিআরসেভেনের চোখে এই ম্যাচ হয়তো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ বড় শিরোপা জয়ের সুযোগ। ইউরো ২০১৬ ও ২০১৯ নেশন্স লিগ জয়ের পর আরও একবার দলকে ট্রফি এনে দিতে চান এই মহাতারকা। তার নেতৃত্বেই আবার সোনালি সময়ের স্বপ্ন দেখছে পর্তুগাল।